Friday, August 23, 2019

অল্প সময়ে বড় সিলেবাস শেষ করার উপায়!


এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য, যারা সারাবছর পড়ার বইগুলোকে দূরে সরিয়ে রেখে বিপুল পড়ার স্তুপ করেছো এবং যেইনা পরীক্ষা ঘনিয়ে এসেছে মহাভারত (বিশাল সিলেবাস) মুখস্থ করে শেষ করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছো। পড়া সব বাকি রয়ে গেছে, এদিকে পরীক্ষা নাকের গোড়ায়; যে করেই হোক প্রস্তুতি নেয়া চাই। কিন্তু প্রস্তুতি নিতে গিয়ে দেখলে, পরীক্ষার আগে আগে এই ‘মহাভারত উদ্ধার’ বিষয়টা মোটেই সহজ নয়। ১২-১৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করেও পুরোনো অনেক কিছুর সঙ্গে নতুন অনেক কিছু গুলিয়ে-টুলিয়ে একেবারে হালুয়া হয়ে যাচ্ছে। এই যখন ব্যাপার, তাহলে এই কার্যক্রম শুরু করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রেখেই কর।

১। বড় অধ্যায় ছোট ছোট অংশে ভাগ করে পড়ো “খাব যখন, একসঙ্গে পেট পুরে খাবো”—এমন নীতিতে চললে পেট মোটা হয়ে যাবে, কিন্তু শরীরে শক্তি থাকবে না মোটেই। তাই অল্প অল্প করে বার বার খাও। এটা স্বাস্থ্য-কথা। ডাক্তাররা বলে থাকেন। বিস্ময়করভাবে লেখাপড়ার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা আসলে তাই। একসাথে একটা বিশাল অধ্যায় নিয়ে বসলে ঝামেলায় পড়তে হবে। তারচে’ ভালো, অধ্যায়টা ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিয়ে পড়ো। প্রতিটা ভাগের আবার কি-ওয়ার্ড ঠিক করে নাও। অর্থাৎ, ঐ অনুচ্ছেদটুকুতে কোন বিষয়টুকু আলোচিত হয়েছে সেটা মাথায় রাখো, বা কলম দিয়ে লিখে রাখো।

২। একসঙ্গে ২ ঘণ্টার বেশি পড়া নয়। একটানা পড়ার অনুকূল সময়টুকু হল ২ ঘণ্টা। তাই ২ ঘণ্টার বেশি একটানা পড়া ঠিক নয়। অতি মনোযোগে মনোযোগ ব্যাহত হওয়ার মতো ব্যাপার ঘটে এতে। ভালো হয়, যদি এই দুই ঘণ্টা সময়কেও ৫ মিনিটের বিরতিতে ভাগ করে নিতে পারো। ২৫ মিনিট পড়ে ৫ মিনিটের বিরতি নাও। তাহলে দেখবে, পুরো ১২-১৪ ঘণ্টা পড়েও পড়ার ক্লান্তি অতটা অনুভূত হচ্ছে না।

৩। মাথাকে প্রকৃত বিরতি দাও ২ ঘণ্টা পড়ার পর এক ঘণ্টা বিরতি নিলে ঠিকই, কিন্তু এই সময়েও তুমি বন্ধুর সঙ্গে বা পরিবারের অন্য কারো সঙ্গে পড়াশোনা বা পরীক্ষা নিয়েই আলোচনা করলে, তাহলে কিন্তু প্রকৃত বিরতি নেয়া হল না। মস্তিষ্ক ঠিক একই কাজেই নিয়োজিত রইল। বিরতির সময়টুকু পড়ার বাইরে থাকো। মাথাকে চাপমুক্ত রাখো। যদি বিরতির সময়টুকু চাপমুক্ত থাকতে না পারো, তাহলে বিরতির পরের পড়ার সময়টা কার্যকর হবে না খুব একটা।

৪। পড়ার মূল বিষয়গুলিতে বেশি বেশি দৃষ্টি নিবন্ধ করো পুরো পড়াকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেল- core material (মূল উপাদান) এবং elaborative material (বিস্তৃত উপাদান)। মূল উপাদানের মধ্যে থাকবে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র, তত্ত্ব, ডায়াগ্রাম এবং গ্রাফ। আর বিস্তৃত উপাদানের মধ্যে থাকবে উদ্ধৃতি, উদাহরণ, ইলাস্ট্রেশন প্রভৃতি। মূল উপাদানকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে পড়ো।

৫। বিষয়-বৈচিত্র্য মাথায় রেখে প্রতিদিনের পড়ার রুটিন করো আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার মধ্যে মোটামুটি তিন ধরণের বিষয় রয়েছে- স্মৃতিশক্তি নির্ভর বিষয়, সমস্যা সমাধানমূলক বিষয় এবং ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণমূলক বিষয়। জীববিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল... এই ধরণের বিষয়গুলোকে মোটামুটিভাবে প্রথম ভাগে রাখা যায়, যেগুলোতে মুখস্থ করার মতো প্রচুর কনটেন্ট আছে। আবার, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, হিসাববিজ্ঞান…এই ধরণের বিষয়গুলোকে দ্বিতীয় ভাগে রাখা যায়। একই রকমভাবে, বাংলা বা ইংরেজি সাহিত্য… এগুলোকে রাখা যায় তৃতীয় ভাগে। সারাদিনের পড়ার রুটিন করার সময় একই রকম বিষয়গুলোকে একই সাথে না সাজিয়ে বৈচিত্র্য বজায় রাখার জন্য অন্যান্য ধরণের বিষয়গুলোকে পর পর সাজানো উচিত। এতে পড়ায় ক্লান্তি আসার সম্ভাবনা কমে যায়।

৬। শেখা জিনিস নোট করো দেখেই চোখ কপালে তুলে ফেলেছ? পরীক্ষার সময় নোট করব—এ আবার কোন পাগলামী! ছোট বেলায় আমাদের মা-বাবা, চাচা-জ্যাঠারা একটা কথা বলতেন- “একবার লেখো, দশবার পড়ার সমান হবে।” কথাটা ভুল কিছু নয়। শেখা জিনিস লেখার ফলে অনেক বেশি মনে থাকে। আবার, পড়ার সময় কম বুঝেছি, এমন অনেক কিছু হঠাৎ পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু পরীক্ষার সময় এতো পড়ার সময় কি আসলেই আছে? না, নেই। তা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ সূত্র, পয়েন্ট, চিত্র ইত্যাদি পড়ার পর নোট করে ফেলো। এগুলো পরীক্ষার আগের রাতে চোখ বুলানোর জন্য দারুণ কাজে দেবে।

৭। বুঝে বুঝে পড় এবং SQ5R নীতি ঠিক রাখো যে কোন পড়াই ভালোভাবে আত্মস্থ করার পূর্বশর্ত হল ভালো করে বুঝে পড়া এবং সঠিক উপায়ে নোট নেয়া। এই ক্ষেত্রে SQ5R নীতি বেশ ফলদায়ক। SQ5R—মানে, Survey, Questions, Read, Record, Recite, Review and Reflect যে কোন পড়া Survey কর। অনুচ্ছেদগুলোর ওপর চোখ বুলাও, এবং গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলো মার্ক কর। ৭-১০ মিনিট ব্যয় কর। বইয়ে যেসব হেডিং বা সাব-হেডিং থাকে, পড়ার সময়ই ঠিক করে ফেলো, এগুলোর কোনটা থেকে Question হতে পারে। দাগ দাও। প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ অংশের পাশে সেই সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন লিখে রাখো। Read, Record এবং Recite-এর দিকে মনোযোগী থাকো। অনুচ্ছেদগুলো আবার পড় এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো নিজের কণ্ঠস্বরে রেকর্ড করে রাখো। visual representation-এর জন্য সেগুলোকে বুলেট বা বক্স করে রাখো টেক্সটের পাশে। কাজ শেষে নিজের করা নোটগুলো স্পষ্ট করে জোরে জোরে উচ্চারণ কর। যে নোটগুলো নিয়েছ বা প্রশ্নগুলো লিখেছ, সেগুলোর Review কর। নিজেকে প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস কর, এবং উত্তর দিতে পার কিনা দেখ। উপরের স্টেপগুলো repeat করতে থাকো, পুরো বিষয়টা কব্জায় আসা পর্যন্ত।

৮। পড়া বেশি বেশি চোখে পড়ার ব্যবস্থা কর গুরুত্বপূর্ণ সাল, তারিখ, ভোকাব্যুলারি, সূত্র– যেগুলো মনে রাখতে কষ্ট হয়, স্টিকি নোট করে রাখো কিচেনে, বাথরুমে কিংবা ঘরের এমন সব জায়গায়, যেগুলোতে তোমার বেশি যাতায়াত ঘটে। আসা-যাওয়ার পথে চোখ পড়তে পড়তে সেগুলো একসময় আত্মস্থ হয়ে যাবে। ফ্ল্যাশকার্ডও তৈরি করে রাখতে পারো।

৯। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিভিশন দাও যদি এমন হয় যে পরীক্ষার ঠিক আগে আগে তুমি সম্পূর্ণ নতুন একটা চ্যাপ্টার পড়ছ, তাহলে Recapped, Reviewed and Reinforced- এই 3R-এর ওপর গুরুত্ব দাও। যে কোন নতুন তথ্য শিখে সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিভিশন না দিলে ৮০% সম্ভাবনা আছে ভুলে যাবার। তাই, শেখা জিনিস ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রিভিশন দিয়ে ফেলো।

১০। পর্যাপ্ত ঘুমাও পর্যাপ্ত এবং ভালো ঘুমই শর্ট টার্ম মেমোরিকে লং টার্ম মেমোরিতে পরিণত করতে সাহায্য করে সবচে’ বেশি। লং টার্ম মেমোরিতে পরিণত না হলে পরীক্ষার হলে বসে পড়া মনে করবে কী করে? তাই, অধিক পড়তে গিয়ে ঘুম নষ্ট করা মোটেই ঠিক হবে না। অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা ভালো ঘুমের প্রয়োজন আছে। একটা কথা বলে রাখি, অল্প সময়ে পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়-আশয় লিখলাম বলে এটা মনে করার কোন কারণ নেই, আমরা অল্প অল্প করে পড়ে সারা বছর ধরে প্রস্তুতি নেয়ার বিষয়টাকে জোর দিচ্ছি না। সেটাই আসল প্রস্তুতি। অল্প সময়ে মহাভারত মুখস্থ করতে গিয়ে যদি ‘অশ্বত্থামা হতঃ ইতি’ হয়ে যান, তাহলে কি আর উদ্দেশ্য সফল হবে?
© বিভিন্নভাবে সংগ্রহ।
খায়রুল হাসান শিবলু 
৩৮ তম বিসিএস ভাইভা পরীক্ষার্থী।

বিসিএস এর আপডেট তথ্য, পরামর্শ ও পাঠ্যসেবা পেতে লাইক দিন BCS Preparation Program এর ফেসবুক পেজে→
http://facebook.com/bcspreparationprogram

স্বপ্ন যখন বিসিএস | BCS Preparation Program

বিসিএস প্রিলি: সবচেয়ে কঠিন ধাপ পেরোতে যা করবেন!


এ বছরের শেষদিকে সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবরে হতে পারে ৪১তম বিসিএস’র প্রিলিমিনারির বিজ্ঞপ্তি। বিসিএস’র সবচেয়ে কঠিনতম ধাপ হলো প্রিলিমিনারি পরীক্ষা যেখানে আবেদনকারী পরীক্ষার্থীর প্রায় ৯৫-৯৬ শতাংশ পরীক্ষার্থীই বাদ পড়ে যায়।

তাই প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে শুধু দরজা-জানালা বন্ধ করে পড়াশোনা করলেই হবেনা, হতে হবে কৌশলী ও পরিশ্রমী। এতো এতো পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রিলি পরীক্ষায় টিকতে হলে থাকতে হবে কনফিডেন্স, পেতে হবে কাঙ্ক্ষিত কাট মার্কস। ৪১তম বিসিএস প্রিলি পরিক্ষার জন্য যা যা গুরুত্বপূর্ণ–

[] বাংলা: ব্যাকরণ অংশে ধ্বনি ও বর্ণ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, বানান প্রভৃতি অধ্যায় থেকে প্রতি বিসিএস’র প্রশ্ন পাওয়া যায়ই; সাহিত্য অংশে বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের সাহিত্যসমূহ এবং বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের জন্য পিএসসি’র পুরাতন লিখিত সিলেবাসে বর্ণিত ১১ জন সাহিত্যিকে বেশি বেশি জোর দিন।

[] ইংরেজি: English Grammar এ Parts of Speech, Clause, Synonym, Spelling অধ্যায়সমূহে জোর দিন। ইংরেজী সাহিত্য নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করবেন না। সাহিত্য অংশে মোটামুটি পড়লেই ৮/১০ পাবেন, আর সামনের সব দিন টানা শুধু এই ইংরেজি সাহিত্য পড়লেও এই পার্টে ১৫ তে ১৫ পাবেন না। তাই কৌশলী হোন, কিছু নাম্বার ছেড়ে দেয়ার মানসিকতা রাখুন।

[] গণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা: গাণিতিক যুক্তি পার্টে ১০০ ভাগ মার্কস তোলার চেষ্টা করুন, এই পার্ট আপনাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই পার্টের জন্য লগারিদম, বিন্যাস-সমাবেশ, বীজগাণিতিক সূত্রাবলি ভাল করে দেখুন। মানসিক দক্ষতার জন্য ইংরেজি সাহিত্যের মতো থিওরি অনুসরণ করুন। মোটামুটি পড়লেই ১০-১২ পাবেন, সারাদিন পড়লেও ১৫ পাবেন না।

[] সাধারণ বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি: প্রশ্নের এই পার্টে বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে প্রচুর কমন পাবেন। সো এই সাবজেক্ট দুটোতেই প্রিভিয়াস প্রশ্ন কয়েকবার করে পড়ুন। সাধারণ বিজ্ঞান থেকে ধাতব ও অধাতব পদার্থ, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস, বায়ুমন্ডল টপিকগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি’র জন্য কম্পিউটারের অঙ্গসংগঠন, ই-কমার্স, বুলিয়ান এলজ্যাবরা, লজিক গেইট প্রভৃতি বার বার চোখ বুলিয়ে নিন।

[] বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক: ৩৪তম বিসিএস পর্যন্ত এই দুই সাবজেক্টে বিগত বছর থেকে প্রচুর রিপিট আসলেও ৩৫ বিসিএস’র পর থেকে এই দুই সাবজেক্ট এ কারেন্ট ঘটনা এবং আনকমন প্রশ্ন বেশি আসে। তবুও বই থেকে ভালই কমন পাবেন। যে কোন প্রকাশনীর বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বই থেকে পড়ুন, যা কমন পাবেন, তাতেই সন্তুষ্ট থাকুন, বাকিটা স্কিপ করুন। ভয় নেই, অন্যকেউও সেগুলো পারবে না, অনুমানে দিয়ে নিগেটিভ মার্কিংয়ে পড়বে অনেকেই।
তবে বাংলাদেশ পার্টের জন্য বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি, সংবিধান, জনসংখ্যা ও জনগোষ্ঠী অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। আর আন্তর্জাতিক এর জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, আন্তর্জাতিক সম্মেলন, পরিবেশগত ইস্যু থেকে সর্বাধিক প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়।

[] ভূগোল ও নৈতিকতা: ভূগোল পার্টে যা আসে, বাংলাদেশ-আন্তর্জাতিক থেকেই কমন পাবেন ইনশাআল্লাহ্‌। আর নৈতিকতা পার্টটা দেয়াই হয়েছে আপনাকে কনফিউজড করার জন্য। কোনটা যে সঠিক উত্তর হবে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আর পিএসসিই জানে। তাই এই পার্টটা সাবধানে হ্যান্ডেল করতে হবে।

প্রিলি প্রস্তুতির জন্য যে সিরিজের বইগুলো পড়ছেন, সেগুলোই পড়তে থাকুন। তবে পরীক্ষার আগের সাতদিনের জন্য ডাইজেস্ট এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিশেষ সংখ্যা বেশি বেশি পড়ুন, অনেক উপকার পাওয়া যাবে। আগামী দিনগুলোতে পড়বেন যতটুকু, পরীক্ষা দিবেন তার চেয়েও বেশি।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অর্ধেক প্রশ্ন কমন পাবেন, বাকি অর্ধেক প্রশ্ন আপনাকে উত্তর করতে হবে সিক্স সেন্স এপ্লাই করে। তাই যত বেশি মডেল টেস্ট দিবেন, ততো বেশি আপনার সিক্স সেন্স এর ডেভেলপমেন্ট হবে।

শেষকথা হলো, বিসিএস ক্যাডার হতে হলে অলরাউন্ডার হতে হয় সত্য, কিন্তু প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় টিকতে হলে, অলরাউন্ডার না হলেও চলে, কেউ যদি ইংরেজী আর গণিতে (৩৫+৩০=৬৫) জিরোও পায়, তবুও ২০০-৬৫=১৩৫ পেয়ে যে প্রিলি টিকতে পারবে। সো, আপনার উইকনেস কে ভয় না পেয়ে, স্ট্রেংথকে কাজে লাগান, সফল হোন। সবার জন্য শুভ কামনা।

লেখক: রবিউল আলম লুইপা
৩৫তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)।

বিসিএস এর আপডেট তথ্য, পরামর্শ ও পাঠ্যসেবা পেতে লাইক দিন BCS Preparation Program এর ফেসবুক পেজে→
http://facebook.com/bcspreparationprogram

স্বপ্ন যখন বিসিএস | BCS Preparation Program

বিসিএস প্রস্তুতির জন্য যেসব রেফারেন্স বই পড়বেন!


এই বইগুলো মূলত তারাই পড়বেন যারা অনার্স সেকেন্ড/ থার্ড ইয়ার কিংবা ফোর্থ ইয়ারে পড়েন এবং এক্সিলেন্ট প্রস্তুতি নিতে চান। কারণ এতে ব্যাপক সময় দিতে হবে। পড়াশুনা শেষ করার পরে এসে এসব বই পড়া শুরু না করাই ভালো; সেক্ষেত্রে এসব বইয়ের ডাইজেস্ট পড়ে নিন।
তাহলে আসুন দেখে নিই বিসিএস এর এক্সিলেন্ট প্রস্তুতি নিতে কী কী রেফারেন্স বই পড়তে হবে—

১. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম।
2. A Passage to the English Language – S. M. Zakir Hossain.
৩. সংবিধান, সংবিধানিক আইন ও রাজনীতি – মোঃ আব্দুল হালিম।
৪. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতি – মোঃ আব্দুল হাই।
৫. বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর – তারেক শামসুর রেহমান।
৬. নাগরিকদের জানা ভালো – মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
৭. অসমাপ্ত আত্নজীবনী – শেখ মুজিবুর রহমান।
৮. আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর – আবুল মনসুর আহমদ।
৯. আমি বিজয় দেখেছি – এম আর আখতার মুকুল।
১০. স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র – হাসান হাফিজুর রহমান।

এই বইগুলোর PDF কপি ডাউনলোড করতে এখানে–ক্লিক–করুন

Note: এসবের মধ্যে যেসব বইয়ের নাম আমি এর পূর্বের লেখায় উল্লেখ করেছি সেসব বই সবাই পড়বেন তথা উপরের ৫, ৬ এবং ৭ নম্বর বইগুলো।

Wednesday, August 7, 2019

বিসিএস এর জন্য যেসব বই পড়তে হবে—


বিসিএস এর জন্য কী কী বই পড়তে হবে এবং কীভাবে পড়তে হবে? সে বিষয়ে এখন কথা বলবো। মূলত যারা এখনও শুরুই করেন নি এবং শুরু থেকে শুরু করতে চান তাদের জন্য এই লেখা। আমাদেরকে বিসিএস এর জন্য সাধারণত তিন ধরণের বই পড়তে হবে— আমাদের স্কুল লাইফের কিছু পাঠ্যবই, কিছু রেফারেন্স বই এবং বিসিএস বিষয়ক বিভিন্ন প্রকাশনী হতে প্রকাশিত কিছু ডাইজেস্ট তথা রিভিউ বই। আর যেসব রেফারেন্স বই বিস্তৃত আকারের হওয়ার কারণে তা অধ্যয়ন করা আমাদের জন্য সম্ভব হবে না সেসব ক্ষেত্রে সেইসব বইয়ের ডাইজেস্ট পড়ে নিতে হবে; আর যেসব ক্ষেত্রে এসব বইয়ের ডাইজেস্ট বাজারে প্রিন্টকপি আকারে পাওয়া যাবে না অনলাইনে সেসব পাওয়ার লিংক এই পোস্টে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাহলে আসুন এখন আমরা দেখে নিই আমাদেরকে কী কী বই পড়তে হবে।

[] বাংলা ভাষা ও সাহিত্য:
১. বাংলা সাহিত্য বইসমূহ (৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণী) (১৯৯৬ সালের সিলেবাস)।
২. বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণী)।
৩. লাল নীল দীপাবলী -হুমায়ূন আজাদ।
৪. কতো নদী সরোবর -হুমায়ূন আজাদ।
৫. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা -ড. সৌমিত্র শেখর।
৬. MP3 বাংলা।

[] English Language and Literature:
1. Applied English Grammar and Composition – P. C. Das.
2. English Grammar in Use – Raymond Murphy.
3. Common Mistakes in English – T. J. Fitikides.

4. FRIENDS' English Reading Skills (Only Pages 1-48).
5. An ABC of English Literature -Dr M Mofizar Rahman.
6. A Handbook on English Literature.
7. Professor's English for Competition Exams.

[] বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক:
১. বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (নবম-দশম শ্রেণী)।
২. বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর -তারেক শামসুর রেহমান।
৩. বাংলাদেশের সংবিধান।
৪. MP3 বাংলাদেশ।
৫. MP3 আন্তর্জাতিক।
৬. কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সালতামামি (২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের)।
৭. দৈনিক 'প্রথম আলো' অথবা, সাপ্তাহিক 'নিউজপেপার ডাইজেস্ট'।
৮. তথ্য— অর্থনৈতিক সমীক্ষা।

[] সাধারণ বিজ্ঞান:
১. সাধারণ বিজ্ঞান (৮ম শ্রেণী) (১৯৯৬ সালের সিলেবাস)।
২. সাধারণ বিজ্ঞান (৯ম-১০ম শ্রেণী) (১৯৯৬ সালের সিলেবাস)।
৩. MP3 দৈনন্দিন বিজ্ঞান।

[] কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি:
১. কম্পিউটার শিক্ষা (৯ম-১০ম শ্রেণী) (১৯৯৬ সালের সিলেবাস)।
২. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (নবম-দশম শ্রেণী) (ডাইজেস্ট)।
৩. উচ্চ মাধ্যমিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি -প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান (ডাইজেস্ট)।
৪. MP3 কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি।

[] গাণিতিক যুক্তি:
১. নিম্ন মাধ্যমিক গণিত (৬ষ্ঠ শ্রেণী)।
২. নিম্ন মাধ্যমিক গণিত (৭ম শ্রেণী)।
৩. নিম্ন মাধ্যমিক গণিত (৮ম শ্রেণী)।
৪. মাধ্যমিক গণিত (৯ম-১০ম শ্রেণী) (১৯৯৬ সালের সিলেবাস)।
৫. উচ্চতর গণিত (সম্ভাবনা, সমাবেশ ও বিন্যাস— শুধু এই তিনটি অধ্যায়)।
৬. BCS Shortcut Math -মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।
৭. MP3 Math Review.

[] মানসিক দক্ষতা:
১. Professor's মানসিক দক্ষতা।
২. MP3 মানসিক দক্ষতা।

[] ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা:
১. মাধ্যমিক ভূগোল (৯ম-১০ম শ্রেণী) (১৯৯৬ সালের সিলেবাস)।
২. ভূগোল ও পরিবেশ (৯ম-১০ম শ্রেণী)।
৩. টুলস— World MAP ও বাংলাদেশ ম্যাপ (জাহিদ সোহেল)।
৪. MP3 ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা।

[] নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন:
১. পৌরনীতি ও সুশাসন (নবম-দশম শ্রেণী)।
২. উচ্চ মাধ্যমিক পৌরনীতি (২য় পত্র) (মোজাম্মেল হক) (PSC এর সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত অংশ)।
৩. নাগরিকদের জানা ভালো -মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
৪. MP3 নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন।

[] এবং:
১. সামাজিক বিজ্ঞান (নবম-দশম শ্রেণী) (১৯৯৬ সালের সিলেবাস)।
২. মাধ্যমিক ইতিহাস (৯ম-১০ম শ্রেণী)।
৩. BCS প্রিলিমিনারি প্রশ্নব্যাংক।
৪. BCS প্রিলিমিনারি ডাইজেস্ট।
৫. কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স BCS বিশেষ সংখ্যা (English Literature অংশ খুব ভালো থাকে এবং কয়েকটি কমন পড়ে)।


♦ Note—
১. বাংলা সাহিত্য বইসমূহ (৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণী): লেখক পরিচিতি, শব্দার্থ ও টীকা এবং গুরুত্বপূর্ণ বানান।
২. লাল নীল দীপাবলী: পুরোটা পড়তে হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো মাঝে মাঝে দেখার জন্য ডাইজেস্ট দেখতে হবে।
৩. কতো নদী সরোবর: পুরোটা পড়লে ভালো; তবে এর ডাইজেস্ট পড়লেও হবে।
৪. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (নবম-দশম শ্রেণী): ডাইজেস্ট পড়লেই হবে।
৫. উচ্চ মাধ্যমিক 'তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি' -প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান: ডাইজেস্ট পড়লেই হবে।
৬. বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (নবম-দশম শ্রেণী): পুরোটা একবার পড়তে হবে।
৭. মাধ্যমিক ভূগোল (নবম-দশম শ্রেণী): ভালোভাবে পড়তে হবে। আর চর্চা করার জন্য ডাইজেস্ট দেখতে হবে।
এছাড়াও, বিভিন্ন বইয়ের ডাইজেস্ট পড়তে ভিজিট করুন→

আর, ১৯৯৬ সালের সিলেবাসের বইগুলো এখন দুর্লভ। তবে এসব আমাদের সংগ্রহে আছে। এসব বই এর PDF কপি পেতে হলে ইনবক্সে জানাতে হবে।

BCS Preparation Program | স্বপ্ন যখন বিসিএস।